বাংলাদেশকে এক লাখ হাইড্রক্সিক্লোরোকুইনসহ চিকিৎসা সামগ্রী দিল ভারত

করোনাভাইরাস মোকাবেলায় জরুরি চিকিৎসাসামগ্রীর দ্বিতীয় চালান বাংলাদেশ সরকারের কাছে হস্তান্তর করেছে ভারত। এর মধ্যে রয়েছে এক লাখ হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন ট্যাবলেট ও ৫০ হাজার জীবাণুমুক্ত সার্জিক্যাল ল্যাটেক্স গ্লাভস।

রোববার ঢাকায় নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার রীভা গাঙ্গুলি দাশ এসব সামগ্রী হস্তান্তর করেন।

এর আগে প্রথম চালান গত ২৫ মার্চ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেনের কাছে হস্তান্তর করা হয়। সেখানে ছিল ৩০ হাজার সার্জিক্যাল মাস্ক এবং ১৫ হাজার হেড-কভার সমন্বিত জরুরি চিকিৎসা সামগ্রী।

এ বিষয়ে ভারতের হাইকমিশনের পক্ষ থেকে বলা হয়, ভারতের ‘প্রতিবেশী প্রথমে’ নীতির অংশ হিসেবে এবং এই অঞ্চলের প্রতি ভারতের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে জরুরি চিকিৎসা সামগ্রী বাংলাদেশকে দেয়া হচ্ছে। এই সহায়তা এসেছে সার্ক কোভিড-১৯ জরুরি তহবিলের আওতায় এবং কোভিড-১৯ এর বিস্তার রোধে বাংলাদেশ সরকারের প্রচেষ্টায় সাহায্য করার উদ্দেশ্যে।

বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সরবরাহ, প্রতিরক্ষামূলক সরঞ্জাম এবং সক্ষমতা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে ভারত থেকে অব্যাহত সহায়তার প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, সঙ্কটের সময়ে প্রতিবেশী বন্ধুর সহায়তাকে আমরা স্বাগত জানাই।

হাইকমিশনার কোভিড-১৯ এর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বাংলাদেশ সরকারকে ভারতের অব্যাহত সহায়তার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন।

ভারতের দেয়া এ চিকিৎসা সামগ্রী কেন্দ্রীয় মেডিকেল স্টোর ডিপোতে পাঠানো হয়েছে। এর আগে বিমান বাংলাদেশের সহায়তায় সামগ্রীগুলো ভারত থেকে আনা হয়।

হাইকমিশনের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, বন্ধু ও প্রতিবেশী হিসেবে প্রতিকূল সময়ে ভারত বাংলাদেশের পাশে দাঁড়াতে প্রস্তুত। ভারত ও বাংলাদেশ ঐক্যবদ্ধভাবে কোভিড-১৯ সংক্রমণে সৃষ্ট পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠতে পারবে।

ভারতের ‘প্রতিবেশী প্রথমে’ নীতির অংশ হিসেবে এবং কোভিড-১৯ এর বিস্তার রোধে একটি সহযোগিতামূলক আঞ্চলিক প্রচেষ্টার লক্ষ্যে ১৫ মার্চ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সার্ক নেতাদের নিয়ে একটি ভিডিও সম্মেলন করেছিলেন।সেখানে মোদির ঘোষণায় ভারতের ১০ মিলিয়ন ডলার প্রাথমিক সহায়তা নিয়ে সার্ক কোভিড-১৯ জরুরি তহবিল গঠিত হয়।

মন্তব্য করুনঃ

আপনার মন্তব্য লিখুন!
এখানে আপনার নাম লিখুন