স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডিজির পদত্যাগ চেয়ে নোটিশ

করোনায় মানুষের স্বাস্থ্যগত বিষয়ে যথাযথ পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হওয়ার কারণ দেখিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের (ডিজি) পদত্যাগ চেয়ে নোটিশ পাঠানো হয়েছে।

বৃহস্পতিবার সকালে ইমেইলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডিজির কাছে এ নোটিশ পাঠান সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. জে. আর. খান (রবিন)।

এই আইনজীবী বলেন, ‘ডাক্তার, নার্স, পুলিশ, সাংবাদিক, প্রশাসনিক কর্মকর্তাসহ তিন হাজার ৩২৮ জন মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এ ছাড়া সারাদেশে ইতোমধ্যে ১১০ জন মানুষ মারা গেছেন।’

করোনা মোকাবিলায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা যথাযথ পদক্ষেপ নিতে প্রতিনিয়ত ব্যর্থ হচ্ছেন। তাই সাধারণ মানুষের পর সবচেয়ে বেশিসংখ্যক ডাক্তার আক্রান্ত হয়েছেন। এই ব্যর্থতার দায় নিয়ে এই নোটিশ পাওয়ার পরপরই তাকে যথাশিগগির পদত্যাগ করার জন্য বলা হয়েছে।

নোটিশের অনুলিপি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিব,অর্থ মন্ত্রণালয়ের সচিব, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের (স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ) বরাবরেও পাঠানো হয়েছে।

রবিন বলেন, ‘করোনা ভাইরাসের উৎপত্তিস্থল চীনের উহান শহরে হলেও বর্তমানে গোটা বিশ্বে প্রায় এক লাখ ৮০ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্ত ২৬ লাখের বেশি। এখন বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বে বিস্তৃতি বেড়েই চলছে। এই ভাইরাসের কারণে মানুষ প্রতিনিয়ত মৃত্যুর মুখোমুখি হচ্ছেন। করোনা মোকাবেলায় বাংলাদেশ সরকার যাবতীয় পদক্ষেপ গ্রহন করেছেন। বিশেষ করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এ ভাইরাস মোকাবেলা করা সহ দেশের মানুষকে সুরক্ষিত রাখার লক্ষ্যে নানা রকম সুযোগ সুবিধা প্রদান সহ আন্তরিকভাবে চেষ্টা করে যাচ্ছেন।’

আইনজীবী বলেন, ‘দেশের একাধিক জাতীয় দৈনিক পত্রিকা ও অনলাইন নিউজ পোর্টালে প্রকাশিত খবরের আলোকে জানতে পারি করোনা মোকাবেলায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ যথাযথ পদক্ষেপ নিতে প্রতিনিয়ত ব্যর্থ হচ্ছেন।’

আইনজীবী রবিন বলেন, ‘এ ভাইরাস ব্যক্তি থেকে ব্যক্তি এবং একজন গোষ্ঠী থেকে অন্য জনগোষ্ঠীতে সংক্রামিত হওয়ার সম্ভাবনা থাকলেও ডাক্তারদেরকে ইতোপূর্বে স্বয়ংসম্পূর্ণ বা কার্যত ব্যক্তিগত নিরাপত্তা প্রোটেকশন ইকুইপমেন্ট সরঞ্জামাদি অর্থাৎ (পিপিই) সরবরাহ করতে ব্যর্থ হয়েছেন। তাছাড়া (আইনশৃঙ্খলা) ডিসিপ্লিনারি ফোর্স, সাংবাদিক ও করোনা মোকাবেলায় সংশ্লিষ্টদের জন্য যথাযথ ব্যক্তিগত নিরাপত্তার সরঞ্জামাদির ব্যবস্থা গ্রহণ করতে ব্যর্থ হয়েছেন। যদিও দেশের সকল মানুষের স্বাস্থ্য সুরক্ষার লক্ষ্যে যাবতীয় ব্যাবস্থা গ্রহন করার ক্ষেত্রে তিনি ক্ষমতাবান ও দায়িত্বশীল বটে।এর দায় তিনি কোন ভাবে এড়াতে পারবেন না। সংবিধানের ১৫(ক), ১৮(১) এবং ৩২ অনুচ্ছেদে স্বাস্থ্য সেবার ব্যাপারে উল্লেখ রয়েছে। তন্মধ্যে অনুচ্ছেদে ৩২ অনুযায়ী স্বাস্থ্য সেবা মানুষের মৌলিক অধিকার যা নিশ্চিত করার দায়িত্ব রাষ্ট্রের।’

এই আইনজীবী আরো বলেন, ‘সার্বিক বিবেচনায় প্রফেসর মোঃ আবুল কালাম আজাদ তার পদ থেকে এর পূর্বেই পদত্যাগ করা যক্তিযুক্ত ছিল। কিন্তু তিনি তা করেন নাই,তাই এই নোটিশ প্রেরণ করে নোটিশ প্রাপ্তির পর যথাশীঘ্রই সম্ভব পদত্যাগ করার জন্য অনুরোধ জন্যে হয়। অন্যথায় তার বিরুদ্ধে দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

মন্তব্য করুনঃ

আপনার মন্তব্য লিখুন!
এখানে আপনার নাম লিখুন