ইরান প্রথম সামরিক স্যাটেলাইট পাঠালো মহাকাশে

প্রথমবারের মতো সামরিক পরিদর্শন স্যাটেলাইট মহাকাশে উৎক্ষেপণে সফল হয়েছে ইরান। বুধবার দেশটির বিপ্লবী গার্ডের ওয়েবসাইটে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, নুর নামের স্যাটেলাইটটি কক্ষপথে পাঠানো হয়েছে। মারকাজি মরুভূমির কাসেদ উৎক্ষেপণ কেন্দ্র থেকে স্যাটেলাইটটি পাঠানো হয়।

নুর (আলো)-১ নামের সামরিক কৃত্রিম উপগ্রহটিকে সফলভাবে কক্ষপথে স্থাপন করা হয়েছে। ইরানের মধ্যাঞ্চলীয় মরুভূমি দাশত-ই কাভির থেকে ‘নুর’কে নিক্ষেপ করা হয়। কৃত্রিম উপগ্রহ কক্ষপথ পর্যন্ত বহন করেছে ইরানের নিজস্ব প্রযুক্তিতে তৈরি বাহক রকেট কাসেদ (বাহক)। আইআরজিসি’র প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে সামরিক উপগ্রহটি উৎক্ষেপণ করা হলো।

ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের প্রতিষ্ঠাতা হজরত আয়াতুল্লাহ খোমেনী’র (রহ.) নির্দেশে ১৯৭৯ সালে এ বাহিনী প্রতিষ্ঠা করা হয়। আজ ৪২৫ কিলোমিটার ঊর্ধ্বাকাশের কক্ষপথে ‘নুর’কে স্থাপন করা হয়। এই সামরিক ক্ষেপণাস্ত্রের সফল উৎক্ষেপণের মধ্য দিয়ে মহাকাশ অভিযানের জগতে ইসলামি ইরানের একটি দুর্দান্ত অর্জন ঘটল। আর এতে দেশটির মহাকাশ উন্নয়নের নতুন বীরত্বগাঁথা রচিত হলো।

ইরান ২০০৯ সালে প্রথম উমিদ বা আশা নামের কৃত্রিম উপগ্রহ মহাকাশে পাঠায়। ইরানি বিজ্ঞানীরা নিজস্ব প্রযুক্তিতে এটি তৈরি করেন। এরপর ২০১০ সালে ইরান মানুষ বহনোপযোগী মহাকাশযানও পাঠায়। কাভেশগার বা অভিযাত্রী-৩ নামের রকেট এ মহাকাশযানকে বহন করেছিল। এ ছাড়া, ২০১৫ সালে ফজর বা উষা নামে কৃত্রিম উপগ্রহ পাঠিয়েছে ইরান। এটি উঁচুমানের ছবি তুলে তা পৃথিবীতে পাঠাচ্ছে।

এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের অভিযোগ, ক্ষেপণাস্ত্র উন্নয়ন আড়াল করতে স্যাটেলাইট কর্মসূচি চালাচ্ছে ইরান। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার খবর থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

মন্তব্য করুনঃ

আপনার মন্তব্য লিখুন!
এখানে আপনার নাম লিখুন