খুলনায় ৩৪৯ জনের স্যাম্পল পরীক্ষা, পজেটিভ ৪

খুলনা মেডিকেল কলেজের পিসিআর (পলিমারজ চেইন রিঅ্যাকশন) মেশিনে বিগত নয় দিনে ৩৪৯ জনের করোনাভাইরাস পরীক্ষা করা হয়েছে। এর মধ্যে চারজনের শরীরে পজেটিভ ধরা পড়েছে।

বাকি ৩৪৫ জনকে সংশ্লিষ্ট হাসপাতালগুলোর ফ্লু কর্ণার ও আইসোলেশন থেকে মুক্ত করা হয়েছে। যে চারজন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন তারাও এখন অনেকটা স্বাভাবিক আছেন।

বৃহস্পতিবার (১৬ এপ্রিল) সকালে বাগেরহাটের সিভিল সার্জন ডা. কে এম হুমায়ুন কবির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মেডিকেল কলেজের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ডা. শাহনাজ পারভীন জানান, গত ৭ এপ্রিল থেকে খুলনা মেডিকেরের পিসিআর ল্যাবে কোভিড-১৯ এর পরীক্ষা শুরু হয়। ১২ এপ্রিল প্রথম করোনা পজেটিভ রোগী ধরা পড়ে যশোরের মনিরামপুরের এক স্বাস্থ্যকর্মী। রবিউল ইসলাম নামের ওই স্বাস্থ্যকর্মী এখন তার বাড়িতেই চিকিৎসাধীন আছেন। পরদিন ১৩ এপ্রিল ধরা পড়ে দু’জন। যার মধ্যে একজন খুলনা মহানগরীর করিম নগর এলাকার বাসিন্দা অবসরপ্রাপ্ত ব্যাংকার আজিজুর রহমান। সম্প্রতি তিনি দেশের বিভিন্ন স্থানে তাবলীগের চিল্লা দিয়ে এসেছেন। তার বাড়ির এলাকা অবরুদ্ধ (লকডাউন) ঘোষণা করা হয়েছে। বুধবার তার স্ত্রী এবং এক ছেলে ও এক মেয়ের নমুনা সংগ্রহ করেছে খুলনা মেডিক্যাল কলেজের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগ। বৃহস্পতিবার তাদের পরীক্ষা সম্পন্ন হবে।

বাগেরহাটের সিভিল সার্জন ডা. কে এম হুমায়ুন কবির জানান, ১৩ এপ্রিল কোভিড-১৯ ধরা পড়া অপরজন নড়াইলের লোহাগড়ার একটি ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধি সুজন। তিনিও তার বাড়িতে চিকিৎসাধীন আছেন এবং স্থানীয় প্রশাসন তার বাড়ি লকডাউন ষোঘণা করেছে। তিনিও আগের চেয়ে ভাল আছেন বলে স্থানীয় পর্যায়ে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে।

১৪ এপ্রিল খুমেক’র পিসিআর ল্যাবে ৬০ জনের পরীক্ষা হলে একজনের কোভিড-১৯ ধরা পড়ে। তার নাম কবির মোল্লা, তিনি বাগেরহাট জেলার চিতলমারী উপজেলার পাটলপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। সম্প্রতি তিনি ফরিদপুর থেকে নিজ গ্রামে আসেন। রোগীর অবস্থা এখন অনেকটা ভাল। যে কারণে তাকে বাড়িতে রেখেই চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।

সর্বশেষ বুধবার খুমেক’র পিসিআর মেশিনে ৭৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হলেও কারও শরীরে করোনা পজেটিভ পাওয়া যায়নি বলেও জানান বাগেরহাটের এই সিভিল সার্জন।

মন্তব্য করুনঃ

আপনার মন্তব্য লিখুন!
এখানে আপনার নাম লিখুন