করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে দেশে চলমান মহামারির এই দুঃসময়ে যারা অন্যের কাছে হাত পাততে পারছে না তাদের ঘরে খাবার পৌঁছানোর নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মঙ্গলবার (৭ এপ্রিল) সকাল ১০টায় দেশে করোনা পরিস্থিতি নিয়ে চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের ১৫টি জেলার প্রশাসনিক কর্মকর্তা এবং জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বৈঠকে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আবার আমি বলছি যাদেরকে আমরা সামাজিক নিরাপত্তায় সাহায্য দিচ্ছি তাদেরকে তো দিচ্ছিই। কিন্তু এর বাইরের যে শ্রেণিটা, যারা হাত পাততেও পারছে না- তাদের তালিকা করে তাদের ঘরে খাবার পৌঁছে দেওয়া। এই কাজটা আপনারা করবেন।’
শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘আমরা জানি এটা একটা আতঙ্ক সারা বিশ্বে। সবাইকে সবাই ভয় পাবে। সবাই সুরক্ষিত থাকবে। ইটস ট্রু, মানি আমি। কিন্তু একজন ডাক্তার তার একটা দায়িত্ব থাকে। আর তাদের সুরক্ষার জন্য যা যা দরকার আমরা তো দিয়ে যাচ্ছি, ব্যবস্থা করে যাচ্ছি। লাগলে আমরা আরও করবো। সেখানে তো আমরা কোনো কার্পণ্য করছি না।’ ‘আর কভিড-১৯ অর্থাৎ করোনার ক্ষেত্রে স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য যে যে নির্দেশনাগুলো দেওয়া হচ্ছে সে নির্দেশনাগুলো আপনারা দয়া করে মেনে চলবেন’ বলেও জানান আওয়ামী লীগ সভাপতি।
করোনায় যারা ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছেন তাদের ধন্যবাদ জানিয়ে প্রণোদনা দেওয়ার ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী। আর যারা নিজের জীবন সুরক্ষায় পালিয়ে আছেন তারা এ প্রণোদনা পাবেন না বলেও কনফারেন্সে জানান শেখ হাসিনা। গত ৮ মার্চ বাংলাদেশে করোনাভাইরাস প্রথম শনাক্ত হয়। এরপর দিন দিন সংক্রমণ বেড়েছে। এই ভাইরাসে গতকাল সোমবার পর্যন্ত সংক্রমিত ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১২৩ জনে। এ ছাড়া করোনায় মৃত্যু হয়েছে মোট ১২ জনের।
করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে প্রথমে ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে সরকার। পরে এ ছুটি ক্রমান্বয়ে ১১ এপ্রিলের পর ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়ানো হয়।