করোনাভাইরাস মহামারীতে অচল গোটা বিশ্ব। হু হু করে বাড়ছে আক্রান্ত রোগী ও মৃতের সংখ্যা। বিশ্বের অন্তত ১৩১টি দেশে চলছে লকডাউন। এতে দেশগুলোর অর্ধেকের বেশি মানুষ ঘরবন্দি হয়ে পড়েছেন। সবচেয়ে খারাপ অবস্থা ইউরোপ ও আমেরিকার। বেশিরভাগ মৃত্যু হয়েছে এ দুই মহাদেশে। বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র, ইতালি ও স্পেনে প্রতিদিন মৃত্যুর নতুন রেকর্ড হচ্ছে।
এছাড়া মধ্যপ্রাচ্যে ইরানের অবস্থা সবচেয়ে খারাপ। রোববার পর্যন্ত বিশ্বে করোনায় মৃতের সংখ্যা ৬৪ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। সংখ্যাটা ৬৪ হাজার ৬৭৫ জন। আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ১২ লাখ। এ সংখ্যা ১২ লাখ ১ হাজার ৪৪৩ জন। এর মধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ২ লাখ ৪৬ হাজারের বেশি। এর সংখ্যাটা ২ লাখ ৪৬ হাজার ১৭৪ জন। গেল ডিসেম্বরে চীনের উহান শহর থেকে প্রথম ছড়ায় প্রাণঘাতী এ ভাইরাস। দেশটিতে দ্বিতীয় দফায় তা ছড়াতে পারে বলে সতর্ক করেছেন বিশেষজ্ঞরা।
বাংলাদেশ সময় এদিন সকাল সাড়ে ৬টা পর্যন্ত পরিসংখ্যান বিষয়ক ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডওমিটারসের তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু ইতালিতে- ১৫ হাজার ৩৬২ জন। এরপরই আছে স্পেন। দেশটিতে মারা গেছেন ১১ হাজার ৯৪৭ জন। এ দুই দেশের পর বেশি মৃত্যু হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে। সেখানে এখন পর্যন্ত মারা গেছেন ৮ হাজার ৪৫২ জন। মৃতের সংখ্যায় এরপর যথাক্রমে রয়েছে- ফ্রান্সে ৭ হাজার ৫৬০ জন, যুক্তরাজ্যে ৪ হাজার ৩১৩ জন, ইরানে ৩ হাজার ৪৫২ জন, চীনে ৩ হাজার ৩২৬ জন।
গেল ২৪ ঘণ্টায় সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে ফ্রান্সে। দেশটিতে মারা গেছেন ১ হাজার ৫৩ জন। এরপর বলির পাঁঠা হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে। মার্কিন মূলূকে প্রাণ হারিয়েছেন ১ হাজার ৪৮ জন। মারণঘাতী ভাইরাসে এসময়ে অন্যান্য দেশে মৃত্যুবরণ করেছেন যথাক্রমে- স্পেনে ৭৪৯, যুক্তরাজ্যে ৭০৮, ইতালিতে ৬৮১, জার্মানিতে ১৬৯ ও ইরানে ১৫৮ জন।
তবে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যার দিক থেকে শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটিতে আক্রান্ত ৩ লাখ ১১ হাজার ৩৫৭ জন। এরপর যথাক্রমে রয়েছে- স্পেন ১ লাখ ২৬ হাজার ১৬৮, ইতালি ১ লাখ ২৪ হাজার ৬৩২, জার্মানি ৯৬ হাজার ৯২, ফ্রান্স ৮৯ হাজার ৯৫৩, চীন ৮১ হাজার ৬৩৯, ইরানে ৫৫ হাজার ৭৪৩ ও যুক্তরাজ্যে ৪১ হাজার ৯০৩ জন।