করোনার উপসর্গ দেখলেই ডাক্তারের পরামর্শ নিন

করোনাভাইরাসের উপসর্গ দেখা দিলে চিকিৎসকের (ডাক্তার) পরামর্শ নেয়ার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জনগণকে সুরক্ষিত রাখতে হবে। নিজের সুরক্ষা নিজেকেই নিতে হবে। কেউ এটা দিয়ে যাবে না। নিজের ভালোটা নিজেকেই বুঝতে হবে। এটা কোনো লুকোচুরির ব্যাপার নয়।

এটা কেউ না বুঝলে তার নিজেরই ক্ষতি হবে, পরিবারের ক্ষতি হবে, প্রতিবেশীর ক্ষতি হবে। চিকিৎসা ও পরীক্ষার ব্যবস্থা এখন ঢাকা শহরের মধ্যে নয়, বিভাগীয় শহরেও করা হয়েছে। মঙ্গলবার দেশের ৬৪টি জেলার জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও বিভাগীয় কমিশনারদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি আরও বলেন, আমাদের সীমাবদ্ধতার ভিত্তিতে কিছু সেক্টরে (খাত) ছাড় দিতে হবে। ছুটি ৯ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়াতে হবে। সেটা বাড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে আমাদের সীমিত আকারে যোগাযোগ ব্যবস্থা চালু রাখতে হবে। যোগাযোগ ব্যবস্থা চালু করার জন্য আমরা চিন্তা-ভাবনা করে বলব, কোন কোন ক্ষেত্রে আমরা সেটা ছাড় দেব।

যোগাযোগের (পরিবহন) শ্রমিক শ্রেণি যারা আছেন তারাও যাতে কষ্ট না পান, তাদের তালিকা আমি ইতোমধ্যে করতে বলেছি। তাদের যেভাবে সাহায্য করার দরকার, আমরা সেই সাহায্য পৌঁছে দেয়ার ব্যবস্থা করব। আমাদের সরবরাহ ব্যবস্থা এভাবে থাকবে যেন দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে থাকে, মানুষের আওতার মধ্যে থাকে।

সেটা আমাদের নিশ্চিত করতে হবে। কারণ, মানুষের দুর্ভোগের সুযোগ নিয়ে অযথা দাম বাড়িয়ে মুনাফা নেয়া- এটা আসলে অমানবিক হবে। আমি বিশ্বাস করি, আপনারা মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে বিষয়টি দেখবেন। জাতির এই দুঃসময়ে কেউ কোনো সুযোগ নিলে বা বিন্দু পরিমাণ অনিয়ম করলে সহ্য করা হবে না।

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ মোকাবেলায় চলমান ছুটি বাড়ানো হলেও ৪ এপ্রিলের পর থেকে শিল্পকারখানাসহ গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান চালু থাকবে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, আমাদের ইন্ডাস্ট্রিগুলো চালু রাখতে হবে। কারণ, আমাদের পণ্য তৈরি করতে হবে।

তাই ৪ তারিখের পর থেকে ইন্ডাস্ট্রিগুলো চালু করে দিতে পারেন। এখন থেকে যদি আমরা না বলি তাহলে মানুষ প্রস্তুতি নিতে পারবে না। স্রোতের মতো মানুষ ঢাকায় চলে আসবে। তারপর কী পরিস্থিতি হয় বলতে পারব না। আমরা পরিস্থিতি বিবেচনায় ৪ তারিখের পর ছুটি সীমিত করব। ওই সময় সবাইকে আটকাব না, কিছু জায়গা খুলে দেয়া হবে। যেগুলো খুব গুরুত্বপূর্ণ, সেগুলো চালু থাকবে।

জনসমাগম এড়াতে আসন্ন পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠান বাতিল করার কথাও বলেন শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে জনসমাগম আরও বড় বিপদ ডেকে আনতে পারে। আমাদের বাংলা নববর্ষের উৎসবে এ বছর যাতে জনসমাগম হয়, তেমন কিছু করা উচিত হবে না।

অবশ্য ডিজিটাল ব্যবস্থায় অনুষ্ঠানের আয়োজন করা যেতে পারে। তবে, জনসমাগম করে এই অনুষ্ঠান সারা বাংলাদেশে বন্ধ রাখতে হবে। এই নববর্ষ আমরা উৎসবমুখর পরিবেশে উদ্যাপন করে থাকি। লোকসমাগম যাতে না হয়, সে জন্য আমরা সব অনুষ্ঠানই বাদ দিয়েছি।

এটাও ঠিক, কষ্ট আমার নিজেরও লাগছে। নববর্ষের অনুষ্ঠান অনেক মজার। এটাও আমাকে বন্ধ রাখতে হচ্ছে মানুষের কল্যাণের দিকে তাকিয়ে। এটা আমার অনুরোধ- এবার নববর্ষের অনুষ্ঠান করবেন না।

প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে সকাল ১০টায় শুরু হওয়া এ ভিডিও কনফারেন্স চলে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত। এ সময় সচিবালয় থেকে কনফারেন্সে যুক্ত ছিলেন কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক, তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান।

এ ছাড়া একই স্থান থেকে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলামসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ও সচিব এবং ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের নবনির্বাচিত মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম ঢাকা বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয় থেকে এই কনফারেন্সে সংযুক্ত ছিলেন।

প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম, ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এবিএম আবদুল্লাহ এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব মো. তোফাজ্জেল হোসেন মিয়া গণভবনে উপস্থিত ছিলেন। ভিডিও কনফারেন্সে ডিসিরা নিজ নিজ জেলার প্রস্তুতির সর্বশেষ অবস্থা প্রধানমন্ত্রীকে জানান।

তাদের কথার সূত্র ধরে প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন পরামর্শ দেন। এ সময় প্রধানমন্ত্রী রাজশাহীর বিভাগীয় কমিশনার, চুয়াডাঙ্গা, বরগুনা, সিলেট, কক্সবাজার ও লালমনিরহাটসহ বিভিন্ন জেলার ডিসিসহ মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্যসচিব ড. আহমদ কায়কাউস।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, করোনা পরিস্থিতির কারণে কর্মহীন হওয়া শ্রমজীবীদের ঘরে চাল-ডালসহ প্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দিতে হবে। বর্তমান পরিস্থিতিতে দরিদ্রদের সহযোগিতায় বিত্তবানদের এগিয়ে আসারও আহ্বান জানান তিনি।

শেখ হাসিনা বলেন, একটি ক্রান্তিকালে এই ভিডিও কনফারেন্স করছি আমরা। এরকম পরিস্থিতি বোধহয় আমরা জাতীয় জীবনে আর কখনও দেখিনি। দরিদ্র মানুষের কাছে খাবার পৌঁছে দেয়া এবং তাদের সচেতনতা বৃদ্ধির ব্যবস্থা করতে স্থানীয় প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়ে তিনি বলেন, ওয়ার্ড পর্যন্ত এ কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে হবে।

জনগণের নিরাপত্তা আমাদের কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, করোনাভাইরাসের কারণে সরকার মুজিববর্ষসহ সব কর্মসূচি স্থগিত করেছে। যাতে জনসমাগম কম হয় তার জন্য এটা করা হয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ছিল জনগণকে সচেতন করা। সেটা আমরা করতে পেরেছি।

তিন মাস আমরা এই অবস্থা ধরে রাখতে পেরেছি। সবাই নিজেদের জায়গা থেকে যার যার দায়িত্ব পালন করেছেন বলেই এটা সম্ভব হয়েছে। আমরা বিমানবন্দর-নৌবন্দরে চলাচল নিয়ন্ত্রণ করেছি। থার্মাল স্ক্যানারসহ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছি। সে জন্য বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশে করোনা নিয়ন্ত্রিত পর্যায়ে রয়েছে।

সবাইকে ঘরে অবস্থানের পরামর্শ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, করোনা প্রতিরোধে মানুষের করণীয় বিষয়ে নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। আপনারা এসব নির্দেশনা মেনে চলুন। কেননা নিজেদের সুরক্ষা নিজেদেরই করতে হবে। বিশ্বব্যাপী করোনার থাবা রয়ে গেছে। আমরা বিশ্ব থেকে দূরে নই।

আমাদের আরও সচেতন থাকা দরকার। আমরা আমাদের দেশের মানুষের সুরক্ষার জন্য অনেক আগে থেকেই কাজ করেছি। ভবিষ্যতে যাতে করোনাভাইরাস না ছড়ায়, সে জন্য সেদিকেও দৃষ্টি রাখতে হবে।

প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও সশস্ত্র বাহিনীসহ সবাই যার যার দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, সবাইকে সচেতন থাকতে হবে। প্রশাসনের সবাইকে বলব একসঙ্গে কাজ করতে। প্র্রত্যেক এলাকায় জনপ্রতিনিধিদের একটা প্রভাব থাকে। তাদের সঙ্গে নিয়ে মানুষকে বোঝাতে হবে।

আইনশৃঙ্খলার বিষয়ে সচেতন থাকতে স্থানীয় প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়ে তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির দিকে খেয়াল রাখতে হবে। পরিস্থিতি যাতে নিয়ন্ত্রণে থাকে, সে জন্য সাধারণ কার্যক্রম আমাদের অব্যাহত থাকবে। কেউ যেন সুযোগ নিতে না পারে, সেদিকে দৃষ্টি দিতে হবে।

ধনিক শ্রেণিকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, আমার আহ্বানে সাড়া দিয়ে ইতোমধ্যে অনেকে এগিয়ে এসেছেন। অনেকে নিজেরাই সহযোগিতা করে যাচ্ছেন। তবে এটাও দেখতে হবে একজনই যেন বারবার না পায়। কেউ যেন বাদ না পড়ে। এ জন্য যথাযথ তালিকা হওয়া উচিত।

ওয়ার্ড পর্যন্ত তালিকা করে সেই অনুযায়ী যেন সহযোগিতা পায়, তা নিশ্চিত করতে হবে। আর এই দায়িত্ব সবাইকে পালন করতে হবে। বিত্তশালীদেরও এই বিষয়টি দেখতে হবে। প্রশাসন ও নির্বাচিত প্রতিনিধিদের কর্তব্য হিসেবে এটা নিতে হবে। আর এই জায়গায় যেন কোনোরকম দুর্নীতি-অনিয়ম না হয়।

কোনোরকম দুর্নীতি বা অনিয়ম হলে এক চুলও ছাড় দেয়া যাবে না। কারণ, মানুষের দুঃসময়ের সুযোগ নিয়ে কেউ অর্থশালী-সম্পদশালী হয়ে যাবে, সেটা কিন্তু কখনও বরদাশত করব না। আমি সতর্ক করে দিতে চাই- এ ধরনের কোনো অনিয়ম বা অভিযোগ যদি পাই, সে যেই হোক না কেন, আমি তাকে ছাড়ব না।

তিনি বলেন, যারা সরকারের সামাজিক নিরাপত্তার সহযোগিতা পাচ্ছেন, সেটা অব্যাহত থাকবে। তাদের বাইরে যেটা হচ্ছে তাদের তালিকাটাও আমাদের করা দরকার। দরকার হলে ‘মোবাইলের’ মাধ্যমে অর্থ পৌঁছে দেব। খাদ্য পৌঁছে দেব। আমাদের কিন্তু অভাব নেই। যথেষ্ট খাদ্য মজুদ আছে। আমরা চাই না দেশের মানুষ কষ্ট পাক।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ছুটি ঘোষণার কারণে দিনমজুর ও খেটে খাওয়া মানুষের সমস্যা হচ্ছে। কৃষক, চা-শ্রমিক, হিজড়া, বেদে সম্প্রদায়ের মানুষ বেশি কষ্ট পাচ্ছে। যারা দৈনন্দিন কাজে যেতে পারছে না, তাদের বাঁচিয়ে রাখা আমাদের সামাজিক কর্তব্য। সেখানে ১০ টাকা কেজির চালসহ নানা সহযোগিতা করা হয়েছে। তাদের কাছে সাহায্য ও খাদ্যদ্রব্য পাঠাতে হবে।

সবার পারসোনাল প্রোটেকটিভ ইকুইপমেন্ট (পিপিই) ব্যবহারের প্রয়োজন নেই উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, পিপিই ডাক্তার, নার্সসহ স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য। যাদের প্রয়োজন নেই তাদের পিপিই ব্যবহারের প্রয়োজন নেই। পিপিই সবার ব্যবহারের জন্য নয়। পিপিই ব্যবহারের ক্ষেত্রে নির্দেশনা কঠোরভাবে মেনে চলার তাগিদ দেন তিনি।

শেখ হাসিনা বলেন, অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড যেন স্থবির না হয়, সেদিকে নজর দিতে হবে। একটা বিষয় কিন্তু দেখতে হবে, সারা বিশ্ব কিন্তু অর্থনৈতিক কারণে স্থবির হয়ে গেছে। সামনে বিরাট একটা অর্থনৈতিক মন্দা দেখা দিতে পারে। মন্দা মোকাবেলার চিন্তাভাবনা এখনই আমাদের করতে হবে।

পরিকল্পনা নিতে হবে। এখানে সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ হল খাদ্যনিরাপত্তা। এ ক্ষেত্রে একটা সুবিধা হল আমাদের দেশের মাটি অত্যন্ত উর্বর। আমাদের মানুষ আছে। এখানে কৃষিমন্ত্রী (ড. রাজ্জাক) আছেন, তার দিকে দৃষ্টি দেব খাদ্য উৎপাদন যেন অব্যাহত থাকে। সবাইকে নজর রাখতে হবে। কারও এক ইঞ্চি জমি যেন অনাবাদি না থাকে।

গুজবে কান না দিতে আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের এখানে আরেকটা বড় সমস্যা হচ্ছে নানা ধরনের গুজব রটে। আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তুলেছি ঠিকই। ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তুলেছি বলেই আজ এভাবে কথা বলার সুযোগ পাচ্ছি। কিন্তু এই সুযোগ নিয়ে ফেসবুকসহ বিভিন্ন মাধ্যমে গুজব ছড়ানো হয়ে থাকে।

নানা ধরনের কথা অনেকে বলে থাকেন। দেশের বাইরে থেকেও কেউ কেউ বলে থাকেন। যারা এ ধরনের গুজব রটায়, মিথ্যা প্রচারণা চালায়, তাদের বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে হবে। গুজবে কেউ কান দেবেন না। গুজব রটানো থেকে সবাই বিরত থাকেন। গুজব নিয়ে কেউ বিচলিত হবেন না। এটা সবার প্রতি আমার অনুরোধ। আমরা ডিজিটালের সুবিধাগুলো নেব, অসুবিধাগুলো পরিহার করব।

প্রধানমন্ত্রী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়রকে উদ্দেশ করে সব জনপ্রতিনিধিকে নিয়ে মশা নিয়ন্ত্রণ করার নির্দেশ দেন। প্রধানমন্ত্রী সতর্ক করেন- ইতোমধ্যে মশা সঙ্গীতর্চচা শুরু করেছে। করোনার সঙ্গে মশাবাহিত রোগ ডেঙ্গু বা চিকুনগুনিয়া যুক্ত হলে পরিস্থিতি আরও মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে।

আর কয়েকদিনের মধ্যেই মশার প্রাদুর্ভাবে ডেঙ্গু দেখা দিতে পারে, কাজেই সেটা যেন না হয়, সে জন্য সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে এবং প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে। তিনি জনগণকে নিজ বাড়ি এবং তার চারপাশ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন এবং পানি জমে থাকা রোধ করে মশার বংশবিস্তার রোধ করার পাশাপাশি ব্যক্তিগত সুরক্ষার জন্য সবাইকে মশারি খাটিয়ে ঘুমানোর পরামর্শ দেন।

করোনা থেকে যেভাবে সুস্থ হলেন ফয়সাল : দেশে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলেও সুস্থ হয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসা তরুণ জার্মান প্রবাসী ফয়সাল শেখ ঢাকার বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয় থেকে অনুষ্ঠানে যুক্ত হয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মতবিনিময় করেন। তিনি জানালেন কিভাবে করোনা থেকে মুক্ত হয়েছেন।

ফয়সাল বলেন, ‘টেস্টে পজিটিভ আসার পর আইইডিসিআর আমাকে কোয়ারেন্টাইনে রাখে। তারা বাসায় এসে আমাকে নিয়ে কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে আমি ১০ দিন কোয়ারেন্টাইনে থাকি, আমার পরিবারের সবাইকে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়। কয়েক দিন পর বারবার টেস্ট করার পর যখন আমার টেস্ট রেজাল্ট নেগেটিভ আসে, তখন আমি আমার পরিবারের কাছে ফিরে যাই। আল্লাহর রহমতে আমার মাধ্যমে পরিবারের কারও করোনা হয়নি।’

প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনার নির্দেশনায় দেশে যে করোনা চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে, সেজন্য আমি আপনার কাছে অনেক কৃতজ্ঞতা আদায় করছি। দেশের জনগণের কাছে একটাই অনুরোধ, আপনারা প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা মানুন। করোনার সবচেয়ে বড় ব্যাপার হচ্ছে বাসায় থাকা, ঘরে থাকা।

পরিবারকে সময় দিন। যত দিন ঘরে থাকতে বলা হচ্ছে ঘরে থাকুন, তাহলেই কেবল আমরা করোনা থেকে মুক্ত থাকতে পারব। প্রধানমন্ত্রী ফয়সালের কাছে জানতে চান, তোমার পরিবারের কারও কোনো সমস্যা হয়নি? জবাবে ফয়সাল বলেন, না। এরপর প্রধানমন্ত্রী সন্তোষ প্রকাশ করেন।

মন্তব্য করুনঃ

আপনার মন্তব্য লিখুন!
এখানে আপনার নাম লিখুন