হাড় ভালো রাখা আমাদের সুস্থতার জন্য অন্যতম জরুরি বিষয়। এটি আমাদের শরীরকে বাহ্যিক সবরক আঘাত থেকে রক্ষা করে। হাড় শক্ত থাকা খুব গুরুত্বপূর্ণ। নমনীয় পেশী এবং শক্ত হাড় উভয়ই শারীরিকভাবে ফিট হওয়ার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
অনেক পুষ্টি আমাদের হাড়কে সুস্থ রাখতে সহায়তা করে। এগেুলোর মধ্যে ভিটামিন ডি এবং ক্যালসিয়াম অন্যতম। পেশী সংকোচন, ওসাইটি অ্যাক্টিভেশন, শক্তিশালী হাড় এবং দাঁত ভালো রাখার জন্য ক্যালসিয়াম প্রয়োজনীয়। অন্যদিকে ভিটামিন ডি দেহে ক্যালসিয়াম শোষণে সহায়তা করে। এছাড়া ভিটামিন কে, ভিটামিন সি, ম্যাগনেসিয়াম এবং ফসফরাস হাড়ের স্বাস্থ্যের জন্য প্রয়োজনীয় অন্যান্য কিছু পুষ্টি উপাদান। জেনে নিন কোন খাবারগুলো হাড়ের স্বাস্থ্যের জন্য ভালো-
সয়াবিন
প্রোটিন এবং ক্যালসিয়ামের উৎস হওয়ায় সয়াবিন হলো হাড়-বান্ধব খাবার। কলম্বিয়ার মিসৌরি ইউনিভার্সিটির গবেষকদের করা একটি সমীক্ষা থেকে জানা গেছে যে, সয়া-ভিত্তিক পণ্য খাওয়া পোস্টম্যানোপজাল নারীদের মধ্যে হাড়কে মজবুত করতে পারে।
সবুজ শাক-সবজি
সবুজ শাক-সবজি এমন একটি জরুরি খাবার যা আপনাকে অবশ্যই ডায়েটে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। ব্রোকলি এবং পালং শাক জাতীয় শাক-সবজি বিভিন্ন ধরণের স্বাস্থ্যকর পুষ্টি দ্বারা ভরা থাকে যা কেবল আপনার হাড়ের স্বাস্থ্যের জন্যই ভালো নয়, দূরে রাখে নানারকম অসুখও।
কুমড়ো বীজ
কুমড়োর বীজ ম্যাগনেসিয়ামের একটি ভালো উৎস যা হাড় গঠনে সহায়তা করে। ম্যাগনেসিয়াম বেশি পরিমাণ গ্রহণ করলে তা হাড়ের ঘনত্ব বাড়ায় এবং অস্টিওপরোসিসের ঝুঁকি হ্রাস করে। এতে স্বাস্থ্যকর চর্বিও রয়েছে যা প্রদাহ হ্রাস করে এবং হাড়ের শক্তি বজায় রাখে।
সার্ডিন
সার্ডিন একটি সামুদ্রিক মাছ। এটি ক্যালসিয়াম, ভিটামিন ডি, ভিটামিন বি ১২ এবং হাড়-বিল্ডিং খনিজ যেমন ফসফরাস এবং জিংকের সমৃদ্ধ উৎস।
যেসব খাবার এড়িয়ে চলবেন:
অতিরিক্ত লবণযুক্ত খাবার
উচ্চ সোডিয়ামযুক্ত খাবার উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি বাড়িয়ে তুলতে পারে এবং এটি আপনার হাড়ের পক্ষেও ভালো নয়। সোডিয়াম দেহে ক্যালসিয়াম ভারসাম্যের পরিমাণকে প্রভাবিত করে। তাই খাবার খাওয়ার সময় খেয়াল রাখুন, অতিরিক্ত লবণ যেন পাতে না থাকে।
ক্যাফেইন
ক্যাফেইন পান করার পরে আপনি শক্তিশালী বোধ করতে পারেন তবে কিছুক্ষণ পরে অনুভূতিটি চলে যায়। দেখা গেছে যে ব্যক্তি প্রতিদিন ৩০০ মিলিগ্রামেরও বেশি কফি পান করেন তারা হাড়ের ক্ষয়ে ভোগেন।
কোমল পানীয়
কোমল পানীয়তে চিনি এবং ফসফরাসের পরিমাণ বেশি, যা আপনার দাঁত এবং হাড় উভয়েরই ক্ষতি করতে পারে। যতটা সম্ভব এই ধরনের পানীয় থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করুন। ২০০৬ সালের এক গবেষণায় দেখা গেছে, কোমল পানীয় বয়স্ক নারীদের মধ্যে হাড়ের ক্ষয় রোগের কারণ হতে পারে।