ওজন কমানোর জন্য নানা চেষ্টা করে যাচ্ছেন, এদিকে সারাদিন বেখেয়ালে এটাসেটা খেয়েই চলেছেন। এই ভুলটি অনেকেই করেন। তিনবেলা খাবার খাওয়ার সময় ক্যালোরির ব্যাপারে সতর্ক থাকলেও সারাদিন বারবার ক্ষুধা পাওয়ার কারণে এটাসেটা যে খাচ্ছেন, এই একটি কাজই আপনার ওজন কমানোর চেষ্টা নষ্ট করে দিতে পারে। এটি দমনের সঠিক উপায় হলো ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া, যা দীর্ঘ সময় ধরে পেট ভরিয়ে রাখে। তারপরেও যদি আপনি ক্ষুধা অনুভব করেন তবে কিছু ক্ষুধা দমনকারী খাবার খাওয়ার চেষ্টা করুন।
এই খাবারগুলো আসলে আপনার ক্ষুধা নিবারণের পাশাপাশি বেশি খাওয়ার হাত থেকেও বাঁচায়। জেনে নিন এমন পাঁচটি খাবারের সম্পর্কে যেগুলো খেলে বারেবারে খাওয়ার অভ্যাস দূর হবে-
মেথি
মেথি ঔষধি গুণের জন্য বেশি পরিচিত। রান্নার স্বাদ ও গন্ধ বাড়াতে অনেকেই এটি ব্যবহার করে থাকেন। মেথি বীজে ৪৫% ফাইবার থাকে, যা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দ্রবণীয়। ফাইবার দীর্ঘ সময়ের জন্য থেকে শরীরে কার্ব এবং চর্বি গ্রহণের প্রক্রিয়াটি ধীর করে দেয়। মেথির বীজ রক্তচাপ কমাতেও উপকারী।
কীভাবে খাবেন: আপনি সরাসরি এক চামচ মেথি চিবিয়ে দিনে দুইবার খেতে পারেন বা ১ চা চামচ মেথি একগ্লাস পানিতে সারারাত ভিজিয়ে রেখে সকালে পান করতে পারেন।
গ্রিন টি
গ্রিন টি একটি দুর্দান্ত ফ্যাট বার্নার এবং ক্ষুধা দমনকারী। ক্যাফিন এবং ক্যাটচিন নামে দুটি বড় যৌগ রয়েছে এতে, যা ওজন কমানোর প্রক্রিয়াতে সহায়তা করে। বিভিন্ন স্ট্যাডি থেকে জানা যায়, গ্রিন টি বিপাক বাড়াতে সহায়তা করে যা শরীরের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
কীভাবে খাবেন: ভালো ফলাফলের জন্য ২০০-২৫০ মিলি গ্রিন টি প্রতিদিন দুইবার পান করুন।
কাজু বাদাম
ক্ষুধা দূর করতে কাজু বাদাম বেশ কার্যকরী। বেশি খাওয়া এড়াতে চাইলে কাজু বাদামকে বেছে নিন। ফাইবারে পরিপূর্ণ কাজু বাদাম হলো অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস, ভিটামিন ই এবং ম্যাগনেসিয়ামের সমৃদ্ধ উৎস, যা আপনার যখন তখন ক্ষুধা পাওয়ার সমস্যাকে দমন করতে সহায়তা করে। এটি দীর্ঘ সময় পেট ভরিয়ে রাখে।
কীভাবে খাবেন: ক্ষুধা লাগলে একমুঠো কাজু বাদাম খেয়ে নিন।
আদা
চায়ের সঙ্গে বা অনেকরকম রান্নায়- আদা আমরা নিয়মিতই খাই। এই ভেষজটিতে রয়েছে অবাক করা কিছু ঔষধি গুণ।
এটি পাচনতন্ত্রকে উদ্দীপিত করে, বমি বমি ভাব কমায় এবং ক্ষুধাও দমন করতে পারে। ২০১২ সালের একটি ছোট্ট সমীক্ষা অনুসারে, সকালের নাস্তায় আদা খেলে কমপক্ষে ২৪ ঘণ্টা এটি সতেজ রাখতে সাহায্য করে।
কীভাবে খাবেন: আদা চা পান করতে পারেন বা আপনার চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করে আদা খেতে পারেন।
কফি
ক্যাফিনের পরিমাণ বেশি থাকার কারণে কফি স্বাস্থ্যের পক্ষে ভালো নয়, এমনটাই মনে করা হয়। কিন্তু ওজন কমানোর ক্ষেত্রে এটি বেশ উপকারী হতে পারে। কফি আপনার ক্ষুধা কমিয়ে দেয়, ক্যালোরি বার্ন এবং ফ্যাট বিভাজন বাড়ায়। তবে কফি বলতে আমাদের বোঝায় কালো কফি, চিনি এবং দুধে ভরপুর কফি নয়।
কীভাবে খাবেন: প্রতিদিন ২০০-২৫০ মিলি কফি পান করুন।