করোনাভাইরাসের কারণে আজ রোববার সংসদের বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে যেতে বাধা দেয়া হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেছেন, সংসদে আসব অনেক জায়গা থেকে কিন্তু আমাকে ভীষণভাবে বাধা দেয়া হয়েছে, নিষেধ করা হয়েছে। বলেছে-নেত্রী আপনি যাবেন না। আমি বললাম গুলি, বোমা, গ্রেনেড কত কিছুই তো মোকাবিলা করে এ পর্যন্ত এসেছি। আর একটা অদৃশ্য শক্তি তার ভয়ে ভীত হয়ে থাকবো?
আজ রোববার জাতীয় সংসদে সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমের মৃত্যুতে আনীত শোক প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি একথা বলেন। এসময় ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ আবদুল্লাহর মৃত্যুতে তিনি শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেন।
তিনি বলেন, আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি অন্ততপক্ষে দেশের মানুষ যেন স্বাস্থবিধি মেনে চলে। পাশাপাশি করোনার ভয়ে মানুষগুলোকে তো না খেয়ে মারতে পারি না। এটা হলো বাস্তবতা। তাদের বেঁচে থাকার ব্যবস্থা তো আমাদের নিতে হবে।
তাদের জীবনযাত্রা যেন চলে সেই ব্যবস্থা আমাদের করতে হবে। অথচ এই আতঙ্কটা এমন পর্যায়ে চলে যাচ্ছে যেটা সত্যি খুব দুঃখজনক। তবে আমরা ঠিক করেছি কোন কোন এলাকায় বেশি করোনাভাইরাস দেখা যাচ্ছে সেটা লকডাউন করা। যাতে সেখান থেকে কোনোরকম আর সংক্রমিত না হয়। সাথে সাথে যেন আমাদের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড সচল থাকে সেদিকেও আমরা ব্যবস্থা নিয়েছি। এটা এক ধরনের যুদ্ধ। এই সময় আমাদের দুজন হারালাম যারা সবসময় আমাদের সাথে ছিল। তাদের হারানোটা অত্যন্ত কষ্টকর। আমি তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করি।