ঘরে তৈরি আটার রুটির পাশাপাশি আরেক ধরনের রুটি আমরা খেতে ভালোবাসি। সেটি হলো পাউরুটি। ঝটপট ঝামেলাহীন নাস্তা হিসেবে এর বিকল্প হয় না। আসলে বাজার থেকে কেনা এই পাউরুটি পরিশোধিত ময়দা, মাখন এবং চিনির সংমিশ্রণ। আর এই সাধারণ খাবারটি আমাদের আমাদের ভাবনার চেয়ে বেশি ক্ষতি করতে পারে।
আলু: যদিও আলুতে কার্বের পরিমাণ বেশি, তবুও রুটির জায়গায় আলু ব্যবহার করা ভালো। এর কারণ হলো এতে কমপ্লেক্স কার্বস রয়েছে যা কার্ডিও ওয়ার্কআউট মেনে চলা ব্যক্তির জন্য ভালো। কারণ কার্ডিও ওয়ার্কআউটের পরে আমাদের দেহ অন্য কোনো পুষ্টির চেয়ে কার্বসের প্রয়োজন বেশি হয়। এক্ষেত্রে পাউরুটি আদর্শ খাবার নয়। তাই খাবারে পাউরুটির জায়গায় আলু রাখতে পারেন।
টমেটো: টমেটো প্রায় সবার ঘরেই থাকে। খাবারের সঙ্গে সালাদ হিসেবে এটি অত্যন্ত সুস্বাদু। শুধু তাই নয়, এটি ভীষণ উপকারীও। সাধারণত পাউরুটি দিয়ে তৈরি স্যান্ডুইচের মাঝে টমেটো যোগ করে খাওয়া হয়। কিন্তু স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে চাইলে স্যান্ডুইচ তৈরিতে পাউরুটি বাদ দিয়ে তার জায়গায় টমেটো অন্তর্ভূক্ত করুন।
শসা: পাউরুটির বদলে শসা দিয়ে তৈরি করতে পারেন সুস্বাদু স্যান্ডুইচ। শসা পাতলা করে কেটে পনির, জলপাই এবং টমেটো দিয়ে মিনি স্যান্ডউইচ তৈরি করতে পারেন। এটি কম ক্যালোরি এবং ডায়েটরি ফাইবার সমৃদ্ধ, তাই স্বাস্থ্যকরও বেশি।
লেটুস: লেটুস পাতা হতে পারে পাউরুটির অন্যতম বিকল্প। বিভিন্নরকম রোলও তৈরি করতে পারেন এই লেটুস পাতা দিয়ে। কারণ এটি দিয়ে সহজেই আপনি খাবার জড়াতে পারবেন। পনির, জলপাই, চেরি টমেটো, মাংসের টুকরা দিয়ে মুড়িয়ে নিতে পারেন। এটি শুধু ক্ষুধাই দূর করবে না, সেইসঙ্গে দেবে সুস্বাস্থ্যের নিশ্চয়তাও।
বাঁধাকপি: বাঁধাকপি ডায়েট্রিক ফাইবার, ভিটামিন কে এবং সি সমৃদ্ধ একটি সবজি। বাঁধাকটিও লেটুসের মতো আপনার পছন্দসই পুর দিয়ে মুড়িয়ে খেতে পারেন। সকাল কিংবা রাতের খাবারে এর সঙ্গে যোগ করতে পারেন মুরগি আর আলুর টুকরো। পাউরুটির বিকল্প হিসেবে খেতে এটি মোটেও মন্দ লাগবে না।
গাজর: স্যান্ডউইচ বা বার্গার তৈরিতে গাজরের স্লাইস ব্যবহার করতে পারেন। গাজর পাতলা করে কাটুন, তাতে এটি চিবানো সহজ হবে। হার্টের অসুখ রয়েছে এবং চিকিৎসকরা আপনাকে স্বাস্থ্যকর খাবারের পরামর্শ দিয়েছেন, তাহলে পাউরুটির বদলে গাজর খান। গাজর দীর্ঘস্থায়ী হৃদরোগ হ্রাস করতে পারে।