ঠান্ডা কিংবা সর্দি-কাশির সমস্যায় আরাম দেয় এককাপ চা। আমরা প্রায় সবাই প্রতিদিন অন্তত এককাপ হলেও চা পান করি। তবে অনেকে আবার মনে করেন যে নিয়মিত চা পান করা স্বাস্থ্যকর অভ্যাস নয়। অনেকে এটিকে আসক্তি বলতেও দ্বিধা করেন না। তবে নিয়মিত চা পানের অভ্যাস অত্যন্ত স্বাস্থ্যকর হতে পারে। এককাপ চা আপনার শরীরকে ভেতর থেকে আরও শক্তিশালী করতে পারে। এর সঙ্গে কিছু মশলা মেশালে তা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে পারে দ্রুত।
সঠিক উপাদান বাছাই
আপনি যদি সঠিক উপকরণ এবং মশলা যোগ করেন তবে চা স্বাস্থ্যকর পানীয়গুলোর মধ্যে একটি হতে পারে। আদা, মধু বা গুড় হোক, বিশেষ উপাদান যুক্ত করলে তা আপনার চাকে আরও স্বাস্থ্যকর করে তোলে।
চায়ে এই দুই উপাদান যোগ করুন
চা তৈরি করার সময় এক চিমটি যষ্ঠি মধুর গুঁড়া বা কয়েকটি লবঙ্গ যুক্ত করুন। এই দুই উপাদানই বেশ সহজলভ্য। এগুলো আমাদের শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী। এগুলো রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা উন্নত করে। এছাড়াও এই দুই চা ঠান্ডা এবং কাশি সহ অন্যান্য ফ্লু জনিত রোগ থেকে বাঁচায়। এই দুই মশলার উপকারিত সম্পর্কে জেনে নিন-
যষ্ঠিমধু
যষ্ঠিমধু রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর ক্ষেত্রে অন্যতম সেরা গুল্ম। কাশি বা সর্দিজনিত রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিকে যষ্টিমধু খাওয়ার পরামর্শ দেয়া হয় কারণ এটি গলা বা শ্বাস প্রশ্বাসের সংক্রমণ থেকে মুক্তি দেয়। এর অ্যান্টি-ভাইরাল বৈশিষ্ট্য ক্ষতিকর জীবাণুদের নষ্ট করে। হজমের সমস্যা দূর করতেও এটি কার্যকরী।
লবঙ্গ
চায়ের সঙ্গে লবঙ্গ মিশিয়ে পান করলে তা আপনাকে সুস্থ থাকতে সাহায্য করবে। অনেকেই চায়ের সঙ্গে লবঙ্গ মিশিয়ে পান করেন। এটি কেবল চায়ের স্বাদই বাড়ায় না, সেইসঙ্গে এর শক্তিশালী বৈশিষ্ট্য শরীরের ভাইরাস-সংক্রামিত কোষগুলো কার্যকরভাবে ধ্বংস করতে পারে। এটি শ্বাসনালীকে পরিষ্কার রাখতেও সাহায্য করে। এটি আস্ত কিংবা গুঁড়া করে চায়ে ব্যবহার করতে পারেন।
দিনে কতটা চা পান করতে পারবেন?
চা পান করতে যতই ভালোবাসুন না কেন, সেক্ষেত্রে সংযমের কথা ভুলে গেলে চলবে না। কোনোকিছুই অতিরিক্ত খাওয়া ভালো নয় তা সে যতই উপকারী খাবার হোক না কেন। বিশেষজ্ঞদের মতে দিনে চার-ছয় কাপ চা পান করলে তা-ই সর্বাধিক হিসেবে বিবেচিত হয়। তাই চেষ্টা করুন এর থেকে কম পরিমাণ চা পান করতে। দিনে তিন কাপ পান করলেই যথেষ্ট।
খাবার এবং জীবনযাপন স্বাস্থ্যকর করুন
স্বাস্থ্যকর চা পানের পাশাপাশি অন্যান্য পুষ্টিকর খাবার এবং পানীয় রাখুন প্রতিদিনের খাবারের তালিকায়। একা চা আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতে পারবে না। ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট সমৃদ্ধ খাবার খান নিয়মিত। মৌসুমী ফল থাকুক পাতে। খাবারের পাশাপাশি নজর দিন ঘুম ও শরীরচর্চার দিকেও।