মানবিক সহায়তার নতুন রেকর্ড তৈরি করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার হিসেবে আড়াই হাজার টাকা করে নগদ অর্থ সহায়তা পাচ্ছে করোনাভাইরাসের কারণে সারাদেশের ক্ষতিগ্রস্ত ৫০ লাখ পরিবার। স্বাধীনতা-পরবর্তীকালে ও বর্তমান বিশ্বে এটি রেকর্ড।
বৃহস্পতিবার (১৪ মে) প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে কার্যক্রমের উদ্বোধনকালে এ কথা বলেন তার কার্যালয়ের মুখ্যসচিব ড. আহমদ কায়কাউস।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের মুখ্যসচিব ড. আহমদ কায়কাউস বলেন, আজকে যে মানবিক সহায়তা কর্মসূচি আপনি (শেখ হাসিনা) উদ্বোধন করতে যাচ্ছেন আমরা খোঁজ নিয়ে দেখেছি, পৃথিবীর ইতিহাসে এটি বিরল যে, একসঙ্গে এতগুলো মানুষ মানবিক সহায়তা পাওয়া। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পর বাংলাদেশে আপনিই প্রথম এতসংখ্যক মানুষকে একসঙ্গে মানবিক সহায়তা প্রদান করছেন।
ভিডিওচিত্র থেকে পাওয়া তথ্যানুযায়ী, প্রতি পরিবারে ধরা হয়েছে চারজন সদস্য। সেই হিসেবে এই নগদ সহায়তায় উপকারভোগী হবে প্রায় দুই কোটি মানুষ। এজন্য বরাদ্দ দেয়া হয়েছে এক হাজার ২৫০ কোটি টাকা। জেলা প্রশাসন, উপজেলা প্রশাসন, ইউনিয়ন চেয়ারম্যান, গ্রামের মেম্বার, শিক্ষক, সমাজের গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সমন্বয়ে গঠিত কমিটি এই তালিকা তৈরি করেছেন।
ভাতা পাওয়ার তালিকায় আছেন রিকশাচালক, ভ্যানচালক, দিনমজুর, নির্মাণশ্রমিক, কৃষিশ্রমিক, দোকানের কর্মচারী, ব্যক্তি উদ্যোগে পরিচালিত বিভিন্ন ব্যবসায় কর্মরত শ্রমিক, পোল্ট্রি খামারের শ্রমিক, বাস-ট্রাকের পরিবহন শ্রমিক ও হকারসহ নিম্নআয়ের নানা পেশার মানুষ।
তালিকাভুক্তদের মধ্যে নগদ, বিকাশ, রকেট, এবং শিউরক্যাশের মাধ্যমে সরাসরি চলে যাবে এই টাকা। ফলে বাড়তি কোনো ঝামেলা পোহাতে হবে না তাদের। টাকা পাঠানোর খরচ বহন করবে সরকার। এই টাকা উত্তোলন করতে ভাতাভোগীদের কোনো খরচ দিতে হবে না। এই ৫০ লাখ পরিবারের বাইরে আরও ৫০ লাখ পরিবারের প্রায় দুই কোটি সদস্য আগে থেকেই রয়েছে ভিজিএফ কার্ডের আওতায়। এছাড়াও রয়েছে মুক্তিযোদ্ধা ভাতা, বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, শিক্ষা ভাতা ও প্রতিবন্ধী ভাতা।