করোনাভাইরাসের প্রভাবে একের পর এক বন্ধ হচ্ছে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। প্রতিদিনই চাকরি হারাচ্ছে মানুষ। আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো বলছে করোনার প্রভাবে পৃথিবীতে কয়েক কোটি মানুষ চাকরি হারাবে। তাই চাকরি কেন গেল, তাই নিয়ে ভাবতে বসে লাভ নেই। বর্তমান পরিস্থিতিতে বহু মানুষের নির্দিষ্ট কোনও কারণ ছাড়াই চাকরি যেতে পারে। তাই এখন কী করবেন সেটাই বরং ভাবুন।
আপনি যদি চাকুরিজীবী হন, তাহলে হতেই পারে এই অর্থনৈতিক ধাক্কা আপনার কোম্পানিও সামলে উঠতে পারবে না। আগামী কয়েক মাসে চাকরি হারানোর সম্ভাবনা আমাদের সবার সামনেই রয়েছে।
এই পরিস্থিতিতে ভেঙে না পড়ে নিজেকে প্রস্তুত করুন এখন থেকে। যাতে হঠাত্ সাধের চাকরিটি চলে গেলেও সেই ধাক্কা আপনি সামলে উঠতে পারেন। চাকরি হারানোর ধাক্কা কী ভাবে সামলাবেন, তার কয়েকটা পরামর্শ দেওয়া রইল এখানে।
চাকুরিজীবী হলে আপনাকে অবশ্যই নিজের ইমার্জেন্সি ফান্ড তৈরি করে রাখতে হবে। যাতে এরকম বিপদের সময়ে কিছুদিন আপনার চলে যায়। অন্তত তিন মাসের বেতনের টাকা সেই ফান্ডে রাখুন। যাতে নতুন চাকরি খুঁজে নিতে কিছুদিন সময় আপনি পান।
কোম্পানির করে দেওয়া স্বাস্থ্যবীমার বাইরেও নিজের ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যবীমা অবশ্যই রাখুন। কর্পোরেট ইন্সুরেন্সের সুবিধে চাকরি গেলেই আর থাকবে না। চাকরিহীন অবস্থায় আপনি বা আপনার পরিবারের কেউ অসুস্থ হলে চিকিত্সার খরচ বের করা মুশকিল হবে।
আপনার রেজিউমে এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র প্রস্তুত করে রাখুন। হার্ড ও সফট কপি দুটোই প্রস্তুত রাখুন। এছাড়া কোথায় এবং কার কাছে চাকরির জন্য আবেদন করতে পারেন, সেই সব তলিকাও আপডেট করে রাখুন।
আপনার নিয়োগ ও অফিসের অন্যান্য কাগজপত্রও সব আপডেট রাখুন। কাউকে নিয়োগ করার আগে যে কোনও কোম্পানি আগের চাকরির কাগজপত্র দেখতে চাইতে পারে। সব যেন আপনার কাছে প্রস্তুত থাকে।
কোনও কোম্পানি অদূর ভবিষ্যতে নিয়োগ করবে কিনা, সেই বিষয়ে খোঁজ খবর রাখুন। প্রয়োজনে অন্যত্র যেতে হলে দ্বিধা করবেন না। এখন কঠিন সময়। দরকারে বাড়ি ছেড়ে অন্য শহরে যেতে হতেই পারে।
চাকরি গেলে কোম্পানি থেকে আপনার প্রাপ্য টাকাপয়সা সব বুঝে নেবেন। অনেক কোম্পানিই এই সময় সব টাকা নাও মেটাতে চাইতে পারে।
বাড়িতে যে সময়টা ফাঁকা বসে আছেন, সময় নষ্ট না করে কোনও অনলাইনে কোর্স করে নিন। যাতে চাকরির বাজারে আপনার দর একটু বাড়ে।