করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে বাসার বাইরে এখন সবাই মাস্ক ব্যবহার করছেন। তবে দীর্ঘক্ষণ মাস্ক পরলে ঘামের কারণে ত্বকে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
মাস্ক পরার কারণে ত্বকের যে সমস্যা হতে পারে তা এড়ানো সহজ। ত্বক পরিষ্কার রাখতে হবে যা ভাইরাসের কবল থেকে বাঁচারই একটি অংশ এবং ত্বক আর্দ্র রাখতে হবে। ত্বকের আর্দ্রতা রক্ষা করতে পর্যাপ্ত পানি এবং ‘ময়েশ্চারাইজার’ ব্যবহার দুটোই জরুরি। ভারতের ইন্দ্রপৃষ্ঠ অ্যাপোলো হাসপাতালের ত্বক বিশেষজ্ঞ ডিএম মহাজন বলেন, যাদের দীর্ঘসময় মাস্ক পরতে হচ্ছে তাদের ত্বক ময়েশ্চারাইজ করার প্রতি বিশেষ গুরুত্ব দেয়া উচিত। সম্ভব হলে সবার কাছ থেকে নিরাপদ দূরত্বে গিয়ে কিছুক্ষণ মাস্ক খুলে রাখতে হবে। আর মাস্ক আট থেকে নয় ঘণ্টা পর পরিবর্তন করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, চিকিৎসক এবং চিকিৎসাসেবার সঙ্গে জড়িতদের যেহেতু ভাইরাস আক্রান্ত রোগীর সঙ্গেই কাজ। তাই সংক্রমণ থেকে বাঁচতে তাদের মাস্ক হতে হবে পর্যাপ্ত পরিমাণে আঁটসাঁট। আর তাদের ব্যবহার করা মাস্কের কারণে ‘ন্যাসাল ব্রিজ’, আশেপাশের গাল ও চোয়ালের মাংসে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ চাপ পড়ে থাকা অত্যন্ত জরুরি। এতে ওই অংশগুলোতে র্যা শ, শুষ্কভাব, ব্রণ ইত্যাদিসহ ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতেই পারে। ভারতের ফোর্টিস হাসপাতালের ত্বক বিশেষজ্ঞ মঞ্জুল আগারওয়াল বলেন, ‘সার্জিকাল ফেস মাস্ক’ এবং ‘এন নাইনটি ফাইভ রেস্পিরেটর মাস্ক’ সঠিকভাবে পরলে তা শ্বাসতন্ত্র নিঃসৃত ‘ড্রপলেট’য়ে থাকা সংক্রামক রোগের জীবাণু থেকে সুরক্ষা দিতে পারে।
তিনি বলেন, মাস্ক পরার কারণে ত্বকের অ্যালার্জি, র্যা শ ইত্যাদি দেখা দিতে পারে।
চিকিৎসকদের মতে, নিঃশ্বাস ছাড়ার কারণে মাস্কের ভেতরে যে আর্দ্রতা জমে তা শরীরের স্বাভাবিক তাপমাত্রায় ব্যাক্টেরিয়ার বংশবিস্তারের জন্য আদর্শ পরিবেশ তৈরি করে। এতে সৃষ্টি হতে পারে ‘ফলিকিউলাইটিস’ ও একই ধরনের অন্যান্য সংক্রমণ।
এছাড়া ঘাম জমার কারণে ব্রণ ও ছত্রাকজনিত সংক্রমণও বাড়তে পারে।
কী করবেন?
ত্বক সংবেদনশীল হলেই যে মাস্ক ব্যবহার করতে পারবেন না এমন নয়। ত্বকের অস্বস্তি হলে ‘সেরামাইডস’, ‘স্কোয়ালেন’, ‘নিয়াসিনামাইড’ অথবা ‘হায়ালুরনিক অ্যাসিড’ আছে এমন ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে হবে; যা ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখবে ও সুরক্ষা দেবে।