মানুষের জীবন জীবিকা নির্বাহের প্রধান হাতিয়ার হচ্ছে অর্থ বা টাকা। যা করোনার ভয়াল থাবায় অনেকটাই বিপর্যস্ত। গেলো মাসের ২৬ তারিখ থেকে সরকার সাধারণ ছুটি ঘোষণার সাথে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে নির্দেশ দিলে অনেকটাই যেনো মাথার উপর বজ্রপাত ঘটে যাওয়ার মত অবস্থা হয় খেটে খাওয়া মানুষদের।
এমন অবস্থায় শহরের অনিশ্চিত জীবনের শঙ্কায় পড়ে শত কষ্ট উপেক্ষা করে ছোট আয়ের মানুষগুলো পাড়ি দেয় গ্রামে। কর্ম দিবস দু’দিন হাতে রেখে ছুটি দেয়ায় যথেষ্ট সমালোচনা হয় সরকারের সিদ্ধান্ত নিয়ে। যা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক লেখালেখি হয়।
এরপর চলতি মাসের চার তারিখ হঠাৎ গার্মেন্টস শিল্প ঘোষণা দেয় শ্রমিকদের ফিরে আসতে। না হলে তাদের বেতন ভাতা এমনকি চাকরি টিকে থাকবে কিনা সেটারও শঙ্কা দেখা দেয়। পেটের দায়ে আবার সেই ছোট আয়ের মানুষগুলো পাহাড়সম পথ হেঁটে রওনা করে শহরের উদ্দেশে।
সেটা নিয়েও যখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন মাধ্যমে সমালোচনা হলো, ঠিক তখনই গতরাতে আগামী ১১ তারিখ পর্যন্ত গার্মেন্টস শিল্প বন্ধ ঘোষণা করা হয়। কিন্তু যে ভয় একবার নিম্ন আয়ের মানুষগুলোর ভিতরে ঢুকেছে তা কি সহজে দুর হবার?
তাইতো জীবন ঝুঁকি নিয়েও তারা পাড়ি দিচ্ছে শহরে। এমনি একটি ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। স্থানটি পাটুরিয়া ফেরিঘাটের। যেখানে দেখা যাচ্ছে, মাছের ড্রামের ভিতর বসা মানুষ। আর ড্রামগুলো ট্রাকের সুবিন্যস্তভাবে সাজানো।
কতটুকু আর্থিক নিরাপত্তার অভাব থাকলে মানুষ এরকম ঝুঁকি নিতে পারে তা সত্যিই ভাবায়! বাস্তব কতটা নির্মম, জীবন ঝুঁকিও যেখানে তুচ্ছ! এরকম আরো কত ঘটনাই তো আমাদের চোখের আড়ালে ঘটছে, কটাই কে দেখে?
এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, সারাবিশ্বে করোনায় মৃত্যুর হারে বাংলাদেশ দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। এখনো যদি আমরা নিজে ও আশপাশ সচেতন না করতে পারি, তাহলে ধরে নিতে হবে আমাদের জন্য আরো ভয়ানক কিছু অপেক্ষা করছে।