ব্রণ কমাতে হলুদের প্রলেপ

প্রাচীনকাল থেকেই আয়ুর্বেদ ঘরোয়া ওষুধ ও রান্নার কাজে হলুদ ব্যবহার হয়ে আসছে। ভেষজ ওষুধ ছাড়াও মুখের রুচি বাড়ানোর জন্য, কফ, বাতের ব্যথা, ব্রণ, চর্ম রোগ ও কৃমি সমস্যায় হলুদের ব্যবহার অতুলনীয়।

ব্রণের চিকিৎসায় বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ভালো ফল পাওয়া যায় না। তবে হলুদের সাহায্যে ঘরোয়া উপায়ে ব্রণ দূর করা সম্ভব।

হলুদের সঙ্গে দুধ, মধু, নিমপাতা বা টকদইয়ের সঙ্গে নির্দিষ্ট পরিমাণ মিশিয়ে ব্রণে লাগালে উপকার পাবেন। এসব উপাদান পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ছাড়াই ব্রণের পাশাপাশি দাগ-ছোপ-কালচে ভাব দূর করবে।

যেভাবে হলুদ ব্যবহার করবেন-

* নিম হলুদ দুটিই অ্যান্টিসেপটিক। তাই দুটিই জীবাণুরোধক। সমপরিমাণে নিম-হলুদ মিশিয়ে ব্রণে নিয়মিত লাগালে উপকার পাওয়া যায়।

* ২ টেবিল চামচ বেসনে ১ চা-চামচ করে হলুদ, গোলাপ জল, টক দই মিশিয়ে ব্রণে লাগান। ১৫ মিনিট রেখে ধুয়ে নিন। সপ্তাহে ২ বার লাগালে ভালো ফল পাবেন।

* ১ টেবিল চামচ হলুদে আধ চা-চামচ মধু ব্রণ কমাতে যথেষ্ট। মিনিট দশেক ব্রণর ওপর লাগিয়ে পানি দিয়ে ধুয়ে নিন। প্রতিদিন কয়েকবার লাগাতে পারেন।

* ২ টেবিল চামচ দুধে আধ চা-চামচ হলুদ মিশিয়ে ব্রণে লাগান। ১০ মিনিট রেখে ধুয়ে নিন।

* অ্যালোভেরার সঙ্গে হলুদ মেশালে উপকারিতা দ্বিগুন। ২ টেবিল চামচ অ্যালো জুসে আধ চা-চামচ হলুদ মিশিয়ে ব্রণে লাগান। ১০ মিনিট রেখে ধুয়ে নিন।

* ১ টেবিল চামচ লেবুর রসে আধ চা-চামচ হলুদ মিশিয়ে ব্রণর ওপরে লাগান। মিনিট দশেক রেখে ধুয়ে নিন।

* ২ টেবিল চামচ টক দইয়ে আধ চা-চামচ হলুদ মিশিয়ে পেস্ট বানিয়ে নিন। ব্রণের ওপরে লাগিয়ে মিনিট পনেরো রেখে ধুয়ে নিন। দিনে তিনবার এটা লাগাতে পারলে ব্রণ কমবেই। তবে এসব উপকরণ ত্বকে ব্যবহারের আগে চিকিৎসকরে পরামর্শ নেয়া ভালো।

মন্তব্য করুনঃ

আপনার মন্তব্য লিখুন!
এখানে আপনার নাম লিখুন